Description
খুবই বিপজ্জনক, তবে এ ছাড়া বিষয়টা পরীক্ষা করার আর কোনও উপায় অন্তত ওর মাথায় আসছে না। উঠে পড়ে সটান ওয়াশরুমে ঢুকল আর্য। একটা বালতি কিনে এনেছিল, সেটাতে কানায় কানায় জল ভরল। তারপর মাথার উপর তুলে ধরল বালতিটা। এবার দুটো জিনিস হতে পারে। ওর পা কেটে রক্তারক্তি হতে পারে, সেক্ষেত্রে ও কোনোমতে নীচে নেমে গিয়ে কাউকে বলবে ওকে হসপিটালে নিয়ে যেতে। ফোন আর ব্যাগ নিয়েই নামবে, তারপর আর ফিরে আসবে না। আর যদি তা না হয়…
নাহ, আর ভাবনা না। চোখ বন্ধ করে হাত থেকে বালতিটা ছেড়ে দিল আর্য। একটা মুহূর্ত শুধু। আর্যর মনে হলো, সমুদ্রের বালির মতো কী এক নরম তুলোর মতো পদার্থে ডুবে যাচ্ছে ওর পাদুটো। সশব্দে মাটিতে আছড়ে পড়ে গড়িয়ে গেল বালতিটা, বগবগ করে জল ছড়িয়ে গেল মেঝেতে। লাফিয়ে সরে এলো আর্য, চোখ খুলল তারপর। ভালো করে পা দিয়ে ঘষে ঘষে দেখল, আর কোনো নরম ভাব নেই মাটিতে, অথচ ওর পায়েও যন্ত্রণার চিহ্নমাত্র নেই।
চমকে একবার পিছনে তাকাল মেঘ। কেউ নেই, কারও থাকার কথাও না। শুধু আজ সকাল থেকে এই অনুভূতিটা ওর বেশ কবার হয়েছে, কেউ যেন চোখে একরাশ ভ্রূকুটি নিয়ে ওর দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে আছে। তাকে দেখা যায় না, শুধু তার মন ভেদ করে ফুলেফেঁপে বেরিয়ে আসা রাগ, বিরক্তি অনুভব করা যায়। আর্য আর সে ছাড়া কে আছে এই ফ্ল্যাটে? যে-ই থাকুক, মেঘ অন্তত নব্বই শতাংশ নিশ্চিত, সে তার পিয়া নয়। যখন দাদার কাছে শুনেছিল ও, আর্য এখানে আসছে, খুব একটা চিন্তা হয়নি মেঘের। লোকমুখে যে গুজবগুলো রটেছে, সবই কানে গেছিল ওর; কিন্তু তাতে ও ভয় পায়নি কোনোদিনই। ও জানত, সবার কথা অনুযায়ী এ ফ্ল্যাটে যদি সত্যিই ওর পিয়ার বিদেহী আত্মা থেকে থাকেন, তাঁর মেঘহরিণীর চোখ থেকে এক ফোঁটা জল তিনি পড়তে দেবেন না, তাঁর প্রিয় মানুষের গায়ে আঁচড়টিও লাগতে দেবেন না। কিন্তু তারপর…”
Reviews
There are no reviews yet.