Description
আমাদের চারপাশের দেখতে পাই এমন অনেক ঘটনা যেগুলো অনেকসময় ভ্রম বলে মনে হয়। যেমন ধরুন আপনি বাজার করতে গেছেন,দিব্যি বাজার করছেন কিন্তু কেমন যেন একটা অস্বস্তি হচ্ছে। এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখতে দেখতে পেলেন যে, একটা পাগলাটে লোক আপনার দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে আছে। ভালো করে দেখার চেষ্টা করতে দেখতে পেলেন , গোঁফ দাড়ির জঙ্গলের ভিতরের মুখটা কেম যেন চেনা চেনা। এক মুহূর্তের জন্য দোকানিকে টাকা দিতে গিয়ে অন্যদিকে ফিরে আবার সেদিকে তাকাতে দেখলেন… ওমা কেউ তো কোথাও নেই !! আপনার কাজের জায়গায় যেতে দেরি হয়ে যাচ্ছে, কাজেই মনের ভুল ভেবে এড়িয়ে চলে গেলেন আর কয়েক মিনিটের মধ্যে এমন কিছু ঘটেছিল ভুলেও গেলেন। কিন্তু… সে কিন্তু ভুলল না। সে ভুলবে না,ভোলার তার কথাও নয়।
স্কুল ও কলেজ জীবনের খুনসুটি, মিষ্টি প্রেম, বন্ধুদের সাথে মজা, তাদের সাথে করা রসিকতা বেশীর ভাগ মানুষের কাছেই সুখদায়ক স্মৃতি হিসেবে সারাজীবন থেকে যায়। আর থাকবেই না বা কেন ?এই সময় তো আর বার বার ফিরে আসে না, তাই স্মৃতিটুকুই থেকে যাক না কেন। কিন্তু গোলযোগ শুরু হয় তখনই যখন সেই স্মৃতি বিভীষিকা হয়ে ফিরে আসে মানুষের জীবনে। ফেলে আসা মজার ছলে করা কাজ অভিশাপ হয়ে জীবনকে করে তোলে দুর্বিষহ। সুখে শান্তিতে জীবনের পথ চলার রাস্তা বদলে গিয়ে হয়ে ওঠে আতঙ্কের প্রহর। যেখানে এক মুহূর্ত মনে হয় নরকের এক এক বছরের সমান। সেখান থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় আদৌ আছে?
বাড়ির মহিলা সদস্যারা বা অনেক সময় পুরুষ সদস্যরাও যখন ভারতীয় টেলিসিরিয়াল দেখেন টিভিতে তখন আমাদের মধ্যে অনেকেই বিরক্ত হই। বিরক্ত হওয়ার পিছনে অন্যতম মূল কারণ হল সেগুলির বিষয়বস্তুতে পারিবারিক সমীকরণের জটিলতার অত্যাধিক বাড়বাড়ন্ত। সবসময় সমাজের প্রতিফলন যে তাতে হয় না এমন নয় ,কিন্তু কখন ও কখন ও মনে হয়, এতটা বাড়াবাড়ি বাস্তবে অসম্ভব। কিন্তু পারিবারিক সম্পর্কের জটিলতা কতটা ভয়াবহ রূপ ধারন করতে পারে মানুষের জীবনে… শুধু কি জীবনে ? নাহ থাক, সর্বগ্রাসী স্পয়লারের যুগে কিছু কথা না বলাই থাক।
হাসিখুশি সাহচর্য, উপকারী বন্ধু আমরা সকলেই ভালোবাসি। না বাসার সেরম কোন কারণই নেই, আজকের আধুনিক যুগে এতো উপরি পাওনা। মেলামেশা ও কাছাকাছি থাকাও স্বাভাবিক এধরনের মানুষদের সাথে। সুখে দুখে এরাই তো ভরসা। এই প্রসঙ্গে আমাদের পাশের বাড়ির কাকিমার কথা মনে পরে গেল। পাড়ার কেউ অসুস্থ হলে সবার আগে ছুটে যেতেন তিনি, ডাক্তার ডাকা থেকে, ওষুধের ব্যবস্থা করা সবই তার জিম্মায়। কারোর বিয়ে হল, তো গায়ে হলুদ থেকে অষ্টমঙ্গলা হত তার তত্ত্বাবধানে। সবই ঠিক ছিল কিন্তু, রোগীর সেবা করলে রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ত বেশী, আর বিয়েতে যত সাহায্য করতেন তত ঝামেলা বাড়ত বেশী। বিষয়টা হাস্যকর তাই না? ক্লাসিক বাংলা কমেডি, তাই না?
তাই কি ? খালি চোখে যা দেখা যায় তার সবটাই কি সত্যি ? নাকি তার আড়ালে রয়েছে কোন আতঙ্কময় বিভীষিকা?
ধরুন আপনার প্রিয়জন, এই ধরুন না আপনার জীবনসঙ্গী অথবা সঙ্গিনী আপনাদের দুজনের এক বিশেষ দিনে, সেটা জন্মদিন বা যেকোন বার্ষিকী হতে পারে, হঠাৎ জানালো যে সে বাইরে যাবে ঘুরতে বা অফিসের কোন কাজে। আপনি দুঃখ পেলেন, মনের কষ্ট মনে চেপে রেখে তাকে হাসিমুখে বিদায় জানালেন। এবার সেদিন রাতে আপনি তার বিরহে মনমরা হয়ে শুয়ে আছেন বিছানায় এমন সময় হঠাৎ শুনলেন কলিং বেলের আওয়াজ। আপনি দরজা খুলতে গিয়ে আত্মহারা, একি !! আপনার প্রিয় দাঁড়িয়ে আছে আপনার সামনে, হাতে কোন উপহার বা আপনার পছন্দের কিছু। তারপরের ঘটনা খুবই সাদামাটা আপাতদৃষ্টিতে, আপনার প্রিয় বিছানায় আপনার প্রিয় মানুষের সাথে আপনি। কিন্তু…
আপনি যাকে স্পর্শ করছেন সেই শরীরটা কেমন যেন অচেনা, তার শরীরের গন্ধ, তার নিঃশ্বাসের শব্দ কেমন যেন চেনা তাও তাও ঘোর বেমানান, অনেকটা বিছানায় তার আচরণের মত অচেনা!! তখন?
Reviews
There are no reviews yet.