Description
ইতি গজ’র প্রথম খণ্ডের পেছনে একটা প্রশ্ন ছিল, অমরত্ব আশীর্বাদ না অভিশাপ? প্রশ্নটি যেমন সহজ উত্তরটিও জানা। অবশ্যই এটি অভিশাপ। একজন মানুষ, সে বেঁচে থাকতে বাধ্য কারণ সে অমরত্বের অভিশাপে অভিশপ্ত, মৃত্যু তার কাছে একটা পালাবার পথ হতে পারে কিন্তু জীবন নামক জেলখানা তাকে পালাতে দিচ্ছে না। প্রথম পর্ব যারা পড়েছেন তারা জানেন সেই চরিত্রের কী হয়েছিল গল্পের শেষে। তারপর কেটে গেছে অনেক কটা দিন। আগের খণ্ডের কেন্দ্রে যিনি ছিলেন তিনি এই দ্বিতীয় খণ্ডেও চেষ্টা করছেন সেই অমরত্বের অভিশাপ ভেঙে বেরোনোর। আর এজন্য তিনি পরবর্তী আধার হিসেবে খুঁজে বার করেছেন এমন একজনকে যাকে একমাত্র রবীন্দ্রসঙ্গীতই শান্ত রাখতে পারে (যারা রৌরব পড়েছেন তারা জানেন কার কথা বলা হচ্ছে)! আর সেই অভিশপ্ত মহাকাব্যিক চরিত্রটিকে পুনরায় আটকানোর গুরুদায়িত্ব নিয়েছেন সেই ডক্টর বোধিসত্ত্ব নাগ। কিন্তু তার হাতে সময় বেশি নেই, কারণ তার শরীর একটু একটু করে ক্ষয়ে যাচ্ছে। আর তিনি ভাবছেন এই পৃথিবীকে বাঁচানোর গুরুদায়িত্ব তার একারই। গড কমপ্লেক্স এসেছে তার মধ্যে? তার এই ভাবনা কতটা ঠিক বা ভুল? এগুলো নিয়েই এগিয়েছে এই উপন্যাস। আর প্রলয় আসবে? এর উত্তরও আছে এখানে।
Reviews
There are no reviews yet.